নারী নির্মাতাদের অনুদান দিচ্ছে সুলতানা’স ড্রিম

নারী নির্মাতাদের অনুদান দিচ্ছে সুলতানা’স ড্রিম

নারী নির্মাতাদের অনুদান দিচ্ছে সুলতানা’স ড্রিম

নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্রে অনুদান দিচ্ছে সুলতানা’স ড্রিম। ছবি : সংগৃহীত

সুলতানা’স ড্রিম বা সুলতানার স্বপ্ন। দক্ষিণ এশিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের একটি গল্প। ১৯০২ সালে লেখাটি প্রকাশ হয় দ্য ইন্ডিয়ান লেডিস ম্যাগাজিনে, যেখানে বেগম রোকেয়া তাঁর কল্পনার জগৎকে দেখেছেন সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে। তাঁর কল্পনার জগতে ছেলেরা অন্দরমহলে অবস্থান করে, তাই মেয়েরা কোনো ভয় ও সংকোচ ছাড়াই বাইরের জগতে বিচরণ করতে পারে।

কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। প্রতিনিয়ত নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেই চলছে। নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন।

সুলতানা’স ড্রিমের প্রযোজনায় ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’ শিরোনামে নির্মিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। তা সে হোক ফিকশন, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন, কিংবা নিরীক্ষামূলক; অর্থাৎ যেকোনো ক্যাটাগরিতে ৫ থেকে ৮ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্প ও প্রস্তাবনা জমা দেওয়া যাবে এই প্রতিযোগিতায়। আর প্রস্তাবিত চলচ্চিত্রের ধারণা হবে, নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ৩১  জানুয়ারি মধ্যে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারী নির্মাতারাই প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবেন এই প্রতিযোগিতায়। প্রস্তাবনায় ছবিটি নির্মাণের কারণ, গল্পের সারাংশ, বাজেট ও কিছু ভিজ্যুয়াল রেফারেন্স (২-৪ মিনিটের ভিডিও, ছবি, পেইন্টিং বা স্কেচ) জমা দিতে হবে, যেখান থেকে বাছাই করে নেওয়া হবে সেরাদের। আর ৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে বিজয়ীদের নাম। অনুদান প্রদানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণবিষয়ক পরামর্শ এবং কারিগরি সহযোগিতা করা হবে বিজয়ীদের।

নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেশব্যাপী প্রদর্শিত হবে। চলচ্চিত্র নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেনের উদ্যোগে এই আয়োজনের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজ। পরিবেশকের দায়িত্বে থাকছে গ্যেটে ইনস্টিটিউট।

News link